কক্সবাজারের উখিয়ার শীলের ছড়া এলাকায় সাংবাদিক কায়সার হামিদ মানিকের জায়গার মাটি কাটার সময় ভূমিদস্যু ইসমাইল ও তার স্ত্রী ছেনুআরা বেগম লোহার রড দিয়ে হামলা চালিয়েছে। হামলায় কায়সার হামিদ গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। কায়সার হামিদ মানিক দীর্ঘদিন ধরে সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন এবং উখিয়া সংবাদ বিতান পরিচালনা করছেন। তিনি জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো, আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বকোণ, এবং কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সৈকত পত্রিকায় উখিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তার পিতা আমিন উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া উপজেলার একমাত্র সংবাদপত্রের এজেন্ট হিসেবে পত্রিকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
কায়সার হামিদ মানিক জানান, ১৯৯৫ সালে তার পিতা ওই জায়গি ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে শীলের ছড়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তবে ভূমিদস্যু ইসমাইল, যে মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে, প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে মৃত ওলা মিয়া সওদাগরের স্ত্রীর কাছ থেকে একই এলাকার জমি ক্রয় করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি জোরপূর্বক কায়সারের জায়গার সীমানা কেটে ফেললে কায়সার বাধা দেন।
স্থানীয়রা বিষয়টি মেম্বার, চৌকিদার ও এলাকার সরদারদের কাছে জানালে তারা শালিস করে উভয় পক্ষের জন্য সীমানা নির্ধারণ করেন। তবে ইসমাইল এই শালিস মানেননি এবং বারবার কুটি ভেঙে ফেলেছেন। রবিবার বিকেলে কায়সারের জায়গার মাটি কাটার সময় তিনি প্রাণনাশের হুমকিও দেন। সোমবার সকালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তখন স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়।
হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সাংবাদিক সমাজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ ও উৎকন্ঠিত। কায়সার হামিদ মানিক প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিয়াউল হক বলেন, “একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”