কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে আয়োজিত পূজা মন্ডপের টানা নয় দিন নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) কর্তৃক ০৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্যগণ সার্বক্ষনিক পূজা মন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, উর্দ্ধতন দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৪ সেপ্টেম্বর হতে ০২ অক্টোবর পর্যন্ত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত ০৬ টি পূজা মন্ডপ সমূহে গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী বৃদ্ধিসহ স্বশরীরে বিভিন্ন সময়ে টহল দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
আজ ০২ অক্টোবর বিজয়া দশমী অর্থাৎ পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব স্থায়ী হয়।
মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া এলাকা থেকে বিসর্জনের জন্য নিয়ে আসা প্রতিমা উখিয়া বিজিবির সহায়তায় কোনোরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া সমুদ্রে বিসর্জন দিতে পেরে আনন্দিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়াও নাফ নদীর দুইটি পয়েন্টে উখিয়া বিজিবির নিরাপত্তায় বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত ০১ অক্টোবর লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি, অধিনায়ক উখিয়া ব্যাটালিয় (৬৪ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী হ্নীলা এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য ০২টি পূজা মন্ডপ স্বশরীরে পরিদর্শন করেন এবং পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবলোকন করেন। পূজা মন্ডপে দায়িত্বরত সভাপতি ও অন্যান্য সকল সদস্যদের সাথে কুশলাদী বিনিময় করেন এবং পূজা মন্ডপের পুরোহিতকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
তিনি বলেন, “বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারায় নয়, সীমান্তে জনসাধারনের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষে সবসময় কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। অদ্য ০২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। যা ভবিষ্যতেও বিজিবি কর্তৃক এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।”
কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সীমান্ত সুরক্ষাসহ যে কোন পরিস্থিতিতে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য সীমান্তবর্তী জনগনের মনে আস্থা অর্জন করে আসছে।