উখিয়ার পালংখালীর স্টেশন-সংলগ্ন সরকারি খালের জায়গা দখল করে দু-তলা বিশিষ্ট মার্কেট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর আমির ও পালংখালী বাজারের ইজারাদার আবুল আলা রোমানের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলেন, একসময় এই খালটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পালংখালী বাজার। সেই সময় খালটি বেশ প্রশস্ত ছিল। যুগে যুগে এখানকার জমিদারেরা খাল ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করেন। ফলে খালটি ছোট হতে হতে এখন ছড়ায় রূপ নিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, আবুল আলা রোমান বাজার ইজারা নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি জায়গায় দোকান নির্মাণ করে অতিরিক্ত টোল আদায়সহ নানা অনিয়ম করে চলেছেন।
সচেতন মহল বলছে, বাজার ইজারা নিয়ে কীভাবে সরকারি খাল দখল করে মার্কেট তৈরি করছেন তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়েছে। এই খালের জায়গায় উচ্ছেদ না করলে অতিবৃষ্টিতে বাজার ও আশপাশের এলাকা পানিতে ভেসে যেতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন জামায়াত আমির বাজার ইজারা নেওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মিয়ানমারে দেশীয় মালামাল পাচার হয়েছে। এই পাচারকৃত মালামালগুলোর মধ্যে সার, মেডিসিনসহ খাদ্যদ্রব্য অন্যতম। এসব পাচার সিন্ডিকেট থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের নিয়মিত ভাগ নেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পালংখালী ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর আমির ও ইজারাদার আবুল আলা রোমান এটিকে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
খালের ওপর মার্কেট নির্মাণ করা নিয়ে তিনি বলেন, পূর্বের ইজারাদারের সময়ে বেশকিছু দোকানপাট নির্মাণ করা হয় খাল ভরাট করে। এ ব্যাপারে এসি ল্যান্ড ও ইউএনও-কে অবগত করা হয়েছে। এসি ল্যান্ডসহ একটি টিম খালের জায়গা পরিদর্শন করে গেছেন এবং উচ্ছেদ করার কথা বলেছেন। তবে খালের ওপর তিনি মার্কেট নির্মাণ করেননি বলে দাবি করেন। এ ছাড়া সেখানে শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কলে সাড়া না দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, স্থানীয় জনগণ অতিদ্রুত এই খাল দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।